শনিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০১০

পাসওয়ার্ড মনে রাখার ঝামেলা শেষ


পাসওয়ার্ড রিকভারি টুলস

দিন দিন কম্পিউটার আর ইন্টারনেট নির্ভর হয়ে উঠছে মানুষের জীবন। ইন্টারনেটে সংশিস্নষ্টতা বৃদ্ধির সাথে সাথে বেড়ে যাচ্ছে নতুন নতুন ওয়েব একাউন্ট। ফলে মনে রাখতে হচ্ছে অনেক কঠিন কঠিন পাসওয়ার্ড। একটি ভালো পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ব্যবহার করে খুব সহজেই পাসওয়ার্ড মনে রাখার ঝামেলা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।



প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে মানুষের কাছে সহজলভ্য হচ্ছে ইন্টারনেট। বিশ্বব্যাপী বাড়ছে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা। ইন্টারনেটের বৈচিত্র্যময় ওয়েবসাইটগুলোতে বিচরণকালে প্রয়োজন হয় বিভিন্ন ওয়েব সাইটে নিবন্ধনের। খুব সাধারণ হিসেবেও একজন প্রাথমিক পর্যায়ের নতুন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরও ইয়াহু, জিমেইল, হটমেইল সহ বিভিন্ন মেইল সার্ভিসে থাকে কয়েকটি অ্যাকাউন্ট। আর ফেসবুক বা টুইটারের মতো সোস্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোতেও অবধারিতভাবেই থাকে অ্যাকাউন্ট। এর বাইরে ব্যবহারকারীর চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন অডিও-ভিডিও সাইট অথবা কাজের ধরন অনুযায়ী প্রফেশনাল বা সংশিস্নষ্ট অনেক সাইটেই গ্রাহকদের নিবন্ধিত হতে হয়। আবার তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার প্রসারিত হওয়ায় এখন অনলাইনে চাকরির আবেদন ব্যবস্থা থাকায় বিভিন্ন কোম্পানির সাইটে এবং চাকুরি খবরের ওয়েব সাইটেও নিবন্ধন করতে হয় হরহামেশাই। এতসব অ্যাকাউন্টের প্রতিটির নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য থাকে গ্রাহক নাম ও পাসওয়ার্ডের ব্যবস্থা। বিভিন্ন সাইট ভেঙ্গে পাসওয়ার্ডগুলো হয়ে থাকে ৪ থেকে ১৪ অৰর বিশিষ্ট। এতগুলো পাসওয়ার্ড মনে রেখে কাজ করাটা বেশ কঠিন ব্যাপার। আর তাই অনেক পাসওয়ার্ড মনে রাখার পরিবর্তে পাসওয়ার্ড টুলস ব্যবহারের মাধ্যমে একটি মাত্র মাস্টার পাসওয়ার্ড মনে রেখেই অনেক পাসওয়ার্ড মনে রাখার ঝামেলা থেকে মুক্ত হওয়া যায়। আর তাই পাসওয়ার্ড টুলস ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। পাসওয়ার্ড টুলসগুলোর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এটি পিসিতে ব্যবহূত সকল পাসওয়ার্ডটি মনে রাখবে। যে কোন ওয়েবসাইট নিবন্ধিত হবার সময় পাসওয়ার্ড টুলস চালু রাখলে তা নিজে থেকেই পাসওয়ার্ড মনে রাখতে পাবে। ওয়েবে নিবন্ধনের সময় এটি ওয়েব পেজ থেকে আপনার এনক্রিপটেড পাসওয়ার্ডটিকে উদ্ধার করে নিজস্ব ডাটাবেজে জমা করে রাখে। পরবর্তীতে যে কোন সময় ওই ওয়েবে আবার ঢুকতে চাইলে পাসওয়ার্ড টুলসের পাসওয়ার্ড মনে রাখলেই চলবে। আলাদা করে ওয়েবসাইটের পাসওয়ার্ড মনে রাখতে হবে না। অবশ্য প্রতিটি ব্রাউজারেই পাসওয়ার্ড সঞ্চিত রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। তবে তাতে করে নিরাপত্তার বিষয়টি সম্পূর্ণই অরৰিত হয়ে পড়ে। কেনা ব্রাউজারে পাসওয়ার্ড সঞ্চিত থাকলে যে কেউ যে কোন সময় ওই ব্রাউজার থেকে যে কোন অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে পারবে।

পাসওয়ার্ড ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যারগুলোতে ফরম ফিলআপের ব্যবস্থা থাকায় এই সফটওয়্যারগুলো ব্যবহার করলে সাধারণত অন্যান্য ওয়েবসাইটে আর নতুন করে ফরম পূরণ করতে হয় না। এগুলোর মধ্যে অনেক সফটওয়্যার আছে যেগুলো ইউএসবির মাধ্যমে বহনযোগ্য। তাছাড়া বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেম আর মোবাইল ডিভাইসগুলোর জন্যও রয়েছে আলাদা আলাদা সফটওয়্যার। ফলে এর ব্যবহারে সুবিধা রয়েছে সবরকম। সেরা কয়েকটি পাসওয়ার্ড ম্যানেজারের বৈশিষ্ট্য এবং সুবিধা-অসুবিধাগুলো নিয়েই এ প্রতিবেদন।

লাস্ট পাস

লাস্ট পাস বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য নিয়ে খুব ভালো একটি ফ্রি পাসওয়ার্ড ম্যানেজার এবং ওয়েব ফরম ফিলার। এর একটি মাত্র মাস্টার পাসওয়ার্ডই আপনার সকল অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ডের জন্য যথেষ্ট। এটার মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ওয়েবে নিবন্ধনের জন্য ফরম পূরণ করা যায়। আর এটা বিভিন্ন অ্যাকাউন্টের জন্য শক্তিশালী পাসওয়ার্ড জেনারেট করতে পারে। অনলাইন এই সফটওয়্যার নিজস্ব সার্ভারে সেই পাসওয়ার্ডগুলো জমা রাখে। থার্ড পার্টি সার্ভারে পাসওয়ার্ডসহ নিজের গুরম্নত্বপূর্ণ গোপন তথ্যসমূহ জমা রাখা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে নিরাপত্তা বিষয়ে। তবে লাস্ট পাসে ব্যবহূত হয় এসএসএল প্রটোকল এবং ডাটা এনক্রিপ্টেড হয় ২৫৬ বিট কী দ্বারা যা এইএস অ্যালগরিদম ব্যবহার করে। ফলে এখানে ব্যবহূত মাস্টার পাসওয়ার্ডটি ছাড়া কোনভাবেই এখান থেকে পাসওয়ার্ড বা কোনো তথ্য ডিক্রিপ্ট করা সম্ভব নয়।

বিভিন্ন ওয়েব ফরম পূরণের জন্য আগে থেকেই লাস্ট পাস-এ ফরম পূরণ করে রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে আপনার নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর, ই-মেইল সহ প্রয়োজনীয় সকল তথ্য দিয়ে এখানে ফরম পূরণ করে রাখলে যে কোন ওয়েব ফরম পূরণের জন্য লাস্ট পাসের একটি ক্লিক-ই যথেষ্ট। লাস্টপাসর আকেরটি বৈশিষ্ট্য এতে রয়েছে ভল্ট সিস্টেম। যাতে পাসওয়ার্ড ছাড়াও যে কোন টেক্সট জমা রাখা যায়। আর এতে একাধিক ব্রাউজারে ডাটা সিনক্রোনাইজ করার ব্যবস্থাও রয়েছে। ফলে যে কোন সময় যে কোন ব্রাউজার দিয়েই ইচ্ছেমতো সাইটগুলো লগইন করা যায় একটি ক্লিকের মাধ্যমে।

লাস্টপাস সফটওয়্যারটি উইন্ডোজ, ম্যাক, লিনাক্স সহ মোটামুটি সবধরনের অপারেটিং সিস্টেমেই ব্যবহার করা যায়। প্রচলিত স্ট্যান্ডার্ড সবগুলো ব্রাউজারও সমর্থন করে এটি। তাছাড়া আইফোন, অ্যানড্রয়েড, বস্নকবেরি, উইন্ডোজ মোবাইল সহ জনপ্রিয় স্মার্টফোনগুলোতেও এটি সমানভাবে কার্যকর। ফলে এটি ব্যবহার করা যায় নিশ্চিনত্দে।

রোবোফর্ম প্রো

রোবোফর্ম এর নতুন সংস্করণ রোবোফর্ম প্রো অন্যতম বহুল ব্যবহূত একটি পাসওয়ার্ড ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার। যে কোন ব্রাউজারের সাথে সমর্থিত এই টুলটি পাসওয়ার্ড তৈরি করার পাশাপাশি জটিল এবং বড় বড় পাসওয়ার্ড সঞ্চয় করে রাখতে পারে। এছাড়া নাম, ঠিকানা, ই-মেইলসহ ব্যক্তিগত তথ্যাবলী সঞ্চয়ের মাধ্যমে ওয়েব ফরম পূরণ ও করতে পারে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই যার ফলে এটি ব্যবহার করলে আর পাসওয়ার্ড মনে রাখার ঝামেলা থাকবে না, ঝামেলা থাকবে না ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ওয়েবে নিবন্ধনের জন্য ফরম পূরণ করার। বিভিন্ন ওয়েব অ্যাকাউন্টে লগইন করতে রোবোফরম-এর একটিমাত্র পাসওয়ার্ড মনে রাখলেই চলবে। তারপর বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে ঢোকা হবে বুকমার্ক থেকে ট্যাব খোলার মতই সহজ। এই পাসওয়ার্ড ম্যানেজারে ওয়েব ফরম পূরণের জন্য ব্যক্তিগত সব তথ্য জমা থাকে। এটি ইন্টারনেট এক্সপেস্নারার, মজিলা ফায়ারফক্স, ক্রোমসহ সব ধরনের ব্রাউজার সমর্থন করে আর ব্রাউজারগুলোর মধ্যে ডাটা সিনক্রোনাইজও করতে পারে। আর এর একটি বড় সুবিধা হচ্ছে, একই সিস্টেম থেকে অনেকেই এটি আলাদা আলাদা অ্যাকাউন্ট তৈরি করে ব্যবহার করতে পারে। সব ধরনের অপারেটিং সিস্টেমেও এটি কাজ করে। আর লাস্ট পাসের মতো এটিও শীর্ষ সবগুলো স্মার্টফোনে সমানভাবে কার্যকর। ফলে যে কোন সময় যে কোন জায়গা থেকেই এটি ব্যবহার করা যায়। এই অ্যাপিস্নকেশনটির অপারেশন এবং নেভিগেশনও খুব সহজ। আর নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করলে এতে ব্যবহার করা হয়েছে ২৫৬ বিটের এইএস এনক্রিপশন ব্যবস্থা। ফলে এর সিকিউরিটি ভেঙে ডাটা হ্যাক হবার বা চুরি হবার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

আইডেনটিটি সেফ

নরটন ৩৬০ ৪.০ সংস্করণের একটি বিশেষ টুলবার যা কিনা অনলাইন আইডেনটিটি এবং পাসওয়ার্ড মনে রাখার পাশাপাশি আরও কিছু সুবিধা দিয়ে থাকে। বিভিন্ন অ্যাকাউন্টের আইডি, পাসওয়ার্ড তৈরি ও জমা রাখার পাশাপাশি এটি বিভিন্ন ব্যক্তিগত তথ্যও জমা রাখে। ই-মেইল, ফোন, ঠিকানা, ক্রেডিট কার্ডের নম্বর, বিভিন্ন অনলাইন পিন নম্বর এসবও জমা রাখা যায় এতে। এটি বিভিন্ন ভুয়া ওয়েব সনাক্ত করে ওসব ওয়েব থেকে ব্যবহারকারীর তথ্য নিরাপদ রাখতে পারে। এটিও অন্যান্য পাসওয়ার্ড ম্যানেজারের মতো পাসওয়ার্ড জমা রাখে আর এতেও ব্যবহার করা হয় শক্তিশালী এনক্রিপশন অ্যালগরিদম। এই অ্যাপিস্নকেশনটির আর একটি বড় সুবিধা এটি ভাইরাস এবং স্পাইওয়্যার স্ক্যান করে এবং সেটা যথেষ্ট সফলতার সাথেই করে থাকে। আর এতে রয়েছে প্যারেন্টাল কন্ট্রোল যা ওয়েব ফিল্টার হিসেবে কাজ করে এবং এতে নিজস্ব পছন্দমতো সাইট যোগ করা যায় বা বাদও দেয়া যায়। আর যে কোন ইউজার অ্যাকাউন্টের জন্যই এটি কাজ করে।এর অ্যান্টি স্প্যাম মডিউলে আউটলুক এবং আউটলুক এক্সপ্রেস থেকে অ্যাড্রেস বুকের মেইল আইডিগুলোর সাথে সিনক্রোনাইজ করতে পারে। ফলে অ্যাড্রেস বুকের মেইল আইডিগুলোকে সে কখনই বস্নক করবে না। সবমিলিয়ে আইডেনটিটি সেফ যথেষ্ট উপযোগী একটি পাসওয়ার্ড ম্যানেজার।

ওয়ান ক্লিক সাইনআপ শিল্ড সু্যট ৫ (এসইউএস)

অন্যান্য পাসওয়ার্ড ম্যানেজারের মতোই ওয়ান ক্লিক সাইনআপ শিল্ড সু্যট ৫ (এসইউএস) একটি কার্যকরী পাসওয়ার্ড ম্যানেজার। পাসওয়ার্ড তৈরি করতে না পারলেও এটি যে কোন অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড মনে রাখতে পারে। পাশাপাশি যে কোন অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করলে সেটাও সে আপডেট করে নেয়। একই সাথে বিভিন্ন ওয়েব সাইটে নিবন্ধনের জন্য ওয়েব ফরমগুলোর প্রয়োজনীয় তথ্য ধারণ করে নিজে থেকেই ফরম পূরণ করতে পারে। পাসওয়ার্ড সঞ্চিত রাখার জন্য এর এনক্রিপশন ব্যবস্থাটি যথেষ্ট শক্তিশালী আর এর সিকিউরিটি অ্যালগরিদম ভেঙে পাসওয়ার্ড হ্যাক করা এক কথায় অসম্ভব। আর অন্য পাসওয়ার্ড ম্যানেজারগুলোর মতোই এটিও একটি মাত্র মাস্টার পাসওয়ার্ড দিয়েই বাকী সব পাসওয়ার্ডকে সংরৰণ করতে পারে। অবশ্য এর মাস্টার পাসওয়ার্ডটির জন্য সংকেত সংরৰণের ব্যবস্থা রয়েছে যা নিরাপত্তা সংশিস্নষ্ট প্রশ্নের উত্তরর দিয়ে জমা রাখা যায়। এসইউএস এর আরেকটি সুবিধা হচ্ছে, এর অন স্ক্রিন কি-বোর্ড দিয়েই সব কাজ সেরে ফেলা যায়। আলাদা করে কীবোর্ড ব্যবহার না করলেও চলে। এসইউএস পাওয়া যায় তিনটি আলাদা আলাদা সংস্করণে। ইউথ্রি সমর্থনযোগ্য ইউএসবি সংস্করণ, সাধারণ বহনযোগ্য সংস্করণ এবং শুধুমাত্র ডেস্কটপের জন্য আরও একটি সংস্করণে পাওয়া যায় এসইউএস। এই পাসওয়ার্ড ম্যানেজারটির ইন্টারফেস খানিকটা অসুবিধাজনক হলেও এর নানান বৈশিষ্ট্যের কারণে এটি একটি কার্যকরী পাসওয়ার্ড ম্যানেজার হিসেবে সমাদৃত হয়েছে।

ওয়ান পাসওয়ার্ড

অ্যাপলের ম্যাক অপারেটিং সিস্টেমের পিসি এবং আইফোনের জন্য বেশ ভালো একটি পাসওয়ার্ড টুল ওয়ান পাসওয়ার্ড। বিভিন্ন অ্যাকাউন্টের জন্য পাসওয়ার্ড তৈরি করা, সেগুলো জমা রাখা সহ ব্যক্তিগত বিভিন্ন তথ্য ও জমা রাখতে পারে এটি। এমনকি ক্রেডিট কার্ড এবং অনলাইন শপিংয়ের স্পর্শকাতর তথ্যগুলোও এতে জমা রাখা যায়। আর ম্যাকের ডেস্কটপের পাশাপাশি আইফোন এবং আইপড টাচেও এটি ব্যবহার করা যায়। এটা ব্যবহারের জন্য একটি লগ ইন কোড এবং একটি মাস্টার পাসওয়ার্ড প্রয়োজন হয়। অ্যাপিস্নকেশন চালুর সময়ই লগ ইন কোডটি দিতে হয়। আর এতে সঞ্চিত যে কোন আইটেম ব্যবহার করতে চাইলে দিতে হয় মাস্টার পাসওয়ার্ডটি। অবশ্য সঞ্চিত পাসওয়ার্ডগুলোর জন্য মাস্টার পাসওয়ার্ডের ব্যবহার শিথিল করার অপশনও রয়েছে। তাতে করে কেবল আনলক কোড ব্যবহার করেই ওই সাইটগুলোতে প্রবেশ করা যায়। একই সাথে ডেস্কটপ এবং আইফোন বা আইপ্যাড টাচে এটি ব্যবহার করতে চাইলে ওয়াই-ফাই এর মাধ্যমে ডিভাইসগুলোর ডাটা সিনক্রোনাইজ করার ব্যবস্থা রয়েছে। সাধারণ ডেস্কটপ সংস্করণ ওয়ান পাসওয়ার্ডের জন্য ৫ ডলার আর ৮ ডলারে পাওয়া যায় ওয়ান পাসওয়ার্ড প্রো সংস্করণ। একটি বিম্বসত্দ পাসওয়ার্ড ম্যানেজারের প্রয়োজনীয়তার তুলনায় ম্যাক ডিভাইসের জন্য এটুকু খরচ খুব একটা বেশি নয়।

কী পাস

ওপেন সোর্স ঘরানার অ্যাপিস্নকেশন কী পাস খুব ছোট কিন্তু কার্যকরী একটি পাসওয়ার্ড ম্যানেজার। উইন্ডোজ থেকে শুরম্ন করে লিনাক্স, ম্যাক এবং বিভিন্ন স্মার্টফোন ও ট্যাবলেট পিসির জন্য এটি কাজ করে সমান দৰতায়। এটি ব্যবহার করতে চাইলে শুরম্নতেই একটি ডাটাবেজ তৈরি করতে হয়। আর এখানে নিরাপত্তার জন্য একটি কম্পোজিট মাস্টার কী ছাড়াও কী ফাইল ব্যবহার করা যায়। আবার উইন্ডোজ ব্যবহারকারীরা উইন্ডোজ ইউজার অ্যাকাউন্টকেও এর সাথে সংযুক্ত করে দিতে পারেন। প্রাথমিক ডাটাবেজটি তৈরি হয়ে গেলে এতে সব ধরনের অনলাইন অ্যাকাউন্টের তথ্য জমা রাখা যায়। এতে অনলাইন অ্যাকাউন্টগুলোকে বিভিন্ন গ্রম্নপে সাজানোর ব্যবস্থাও রয়েছে। এখানে সঞ্চিত অ্যাকাউন্টগুলোকে খুব সহজেই ব্রাউজারে ওপেন করা যায় বুকমার্কের মত করেই। এটার জেনারেট করা পাসওয়ার্ডগুলো বেশ শক্তিশালী হয়। যে কোন পুরাতন পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতে চাইলে এটা দিয়েই তৈরি করা যায় নতুন পাসওয়ার্ড। এই অ্যাপিস্নকেশনের একমাত্র সীমাবদ্ধতা এটি ব্যবহারের জন্য আলাদা পস্নাগ-ইন ইনস্টল করার প্রয়োজন হয়। তবে ব্যবহারের সুবিধা বিবেচনা করলে শেষ পর্যনত্দ তা আর ঝামেলা বলে মনে হয় না।

স্পস্ন্যাশ আইডি ৫.০

২০০০ সাল থেকে সস্ন্যাশ ডাটা মোবাইল ডিভাইসগুলোর জন্য সফটওয়্যার তৈরি করে আসছে। এতদিন পর্যনত্দ প্রায় সকল মোবাইল ডিভাইসের জন্য স্পস্ন্যাশ ডাটার পাসওয়ার্ড ম্যানেজার স্পস্ন্যাশ আইডি থাকলেও সম্প্রতি তারা উন্মুক্ত করেছে স্পস্ন্যাশ আইডি'র ডেস্কটপ সংস্করণ। মোবাইল ডিভাইসে জনপ্রিয় এই পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ডেস্কটপ সংস্করণেও হাজির হয়েছে। সাধারণ পাসওয়ার্ড ম্যানেজারের সকল সুবিধা নিয়েই। সাধারণ পাসওয়ার্ড ম্যানেজারের সকল সুবিধার সাথে এতে রয়েছে অতিরিক্ত কিছু সুবিধা। যেমন, এর মাস্টার পাসওয়ার্ডের জন্য সংকেত এবং পাসওয়ার্ড কতটা শক্তিশালী তা নির্দেশ করার ব্যবস্থা রয়েছে। একে যে কোন রিমুভেবল ডিভাইসে ব্যবহার করা যায় আর এতে ১ মেগাবিট পর্যনত্দ ডাটা অ্যাটাচ করার ব্যবস্থাও রয়েছে। এতে সংরৰিত ওয়েব সাইটের ঠিকানা এটি যথেষ্ট উপযোগী করে সাজিয়ে রাখে। যেমন, সর্বাধিক প্রদর্শিত সাইট, সাম্প্রতিক সময়ে পরিবর্তন করা হয়েছে এমন সাইট- এরকম বিভিন্ন শ্রেণীভুক্ত করে এটি সংরৰিত ডাটাগুলো প্রদর্শন করে। এর ব্যাকআপ ব্যবস্থাও আধুনিক এবং একাধিক ফাইলের মাধ্যমে এটি ব্যাকআপ রাখতে পারে। এর অন্যতম একটি সীমাবদ্ধতা হচ্ছে এটি কেবলমাত্র সাফারি আর ইন্টারনেট এক্সপেস্নারারে কাজ করে। ফায়ারফক্স বা অপেরার মতো জনপ্রিয় ওয়েব ব্রাউজারে এটি কাজ করে না।

সুপারজেনপাস

এটি মূলত একটি বুকমার্কলেট। জাভা স্ক্রিপ্ট ব্যবহারকারী ব্রাউজারে যেভাবে বুকমার্ক রাখা যায়, এটিও তেমনি কাজ করে। এটি ব্যবহারের জন্য প্রয়োজন হয় একটি মাস্টার পাসওয়ার্ড। এই বুকমার্কলেট থেকে যে কোন লিংক ক্লিক করলে তার জন্য এটি নিজে থেকে একটি পাসওয়ার্ড তৈরি করে নেয়। আর এর জন্য এটি ব্যবহার করে হ্যাশ অ্যালগরিদম যার মাধ্যমে মাস্টার পাসওয়ার্ড ও সাইট লোকেশনের উপর ভিত্তি করে সে একই সাইটের জন্য একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে পারে। এটির আর একটি সুবিধা হচ্ছে এটি ফায়ারফক্স, সাফারি, অপেরা এবং ইন্টারনেট এক্সপেস্নারার ডেস্কটপে এবং মোবাইল ডিভাইসেও কার্যকর।

মিট্টো

পাসওয়ার্ড ম্যানেজার এবং বুকমার্কলেট- দুই হিসেবেই ব্যবহার করা যায় মিট্টোকে। বিভিন্ন ওয়েবসাইটের ঠিকানা ও পাসওয়ার্ডের পাশপাশি এটি ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক ইনফো, কম্পিউটার লগইন এবং নেটওয়ার্ক লগ-ইনের তথ্য ও ধারণ করতে পারে। সহজেই পরিচালনা করা যায় এই অ্যাপিস্নকেশন। ডেস্কটপ পিসির পাশাপাশি এটি মোবাইল বা স্মার্টফোনেও কাজ করে। আর আমাজন, টারগেট'র মতো শীর্ষ জনপ্রিয় রিটেইল সাইটগুলোতে অটো লগ-ইন সুবিধা সংযুক্ত আছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন